আব্দুস সালাম, টেকনাফ;
টেকনাফের গহীন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্রসহ তিন মানব পাচারকারীকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। এসময় পাচারের উদ্দেশ্যে বন্দি রাখা নারী ও শিশুসহ মোট ৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়—সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে নারী-শিশুসহ বেশ কয়েকজনকে বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া সংলগ্ন গহীন পাহাড়ি এলাকায় আটকে রাখা হয়েছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে কোস্টগার্ড স্টেশন টেকনাফ ও আউটপোস্ট বাহারছড়া যৌথভাবে সেখানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান চলাকালে পাচারকারীদের গোপন আস্তানা থেকে নারী-শিশুসহ ৭ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয় এবং তিন মানব পাচারকারীকে আটক করা সম্ভব হয়। পরে আটককৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাদের লুকানো আস্তানা থেকে একটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত ভুক্তভোগীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়—কয়েকটি সংঘবদ্ধ পাচারকারী চক্র উন্নত জীবনের স্বপ্ন, উচ্চ বেতনের চাকরি এবং অল্প খরচে বিদেশ যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টেকনাফসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা নাগরিকদের মালয়েশিয়া পাঠানোর পরিকল্পনা করছিল। এছাড়া বিভিন্ন স্থান থেকে এনে তাদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন, আটকে রাখা ও নির্যাতনের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায়েরও চেষ্টা করছিল চক্রটি।
তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও আটক তিন পাচারকারীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মানব পাচার রোধে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ভবিষ্যতেও এমন অভিযান অব্যাহত রাখবে।
